হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জিজ্ঞাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।
আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠিয়ে এ রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আব্দুল লতিফেআরও বলেন, মামুনুলকে আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় মামুনুল উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডবে থানা এবং সরকারি অফিসসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের মোহাম্মদপুর থানায়ও ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ২০২০ সালের এক মামলার সঙ্গে সে জড়িত। এ মামলায় আমরা তাকে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে পৌনে ১টার দিকে গ্রেফতার করেছি। ওখান থেকে গ্রেফতার করে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছি।’ এ ঘটনার সত্যতা মামুনুল স্বীকার করেছেন বলেও জানান ডিসি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে হেফাজত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মামুনুলের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা রয়েছে। আমাদের কাছে যে মামলাটি রয়েছে, তাতে আমরা সত্যতা পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে ওই রাতেই ঢাকায় চলে আসেন মামুনুল। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান। এত দিন তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
শুভ মাহফুজ