দেশের ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ২৭ প্রকার ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন ওষুধ মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কেনা হবে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্বে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভায় অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটির ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। আজকের বৈঠকে সব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি। অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবের জন্য মোট অর্থের পরিমাণ হবে ২ হাজার ২০৫ কোটি ১৭ লাখ ২৪১৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৮২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা এবং এডিবি ঋণ দেবে ৩২২ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫ টাকা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক কমিটির ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করলে, সবগুলোর অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো
অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য জার্মানি থেকে ওয়েড হারভাস্টার মডেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন খুলনা ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় ১২৪ কি.মি. স্যুয়ার পাইপ লাইন, ৩টি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন ও ১৩ হাজার ৮০০টি সার্ভিস কানেকশন নির্মাণ কাজ চায়না জিও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন থেকে ৬৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার ৭২৭ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সিঙ্গাপুরে ভিটল এশিয়া লিমেটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট ২৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং পিডব্লিউ-২ পূর্ত কাজ স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক (এন-১) উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০১ আওতায় কক্সবাজার থেকে উখিয়া ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬০ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক (এন-১) উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০২ এর আওতায় উখিয়া থেকে উনচিপ্রাং ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৮ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষ (সিবিএইচসি) কর্তৃক ২৭ প্রকার ওষুধ সম্বলিত ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন ওষুধ মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-২ নির্মাণ কাজ জয়েন্ট ভেঞ্জার সিআিইসি এবং সিসিসিএ ঢাকা থেকে ৪৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-২ নির্মাণ কাজ জয়েন্ট ভেঞ্জার সিআিইসি এবং এমএএইচএর থেকে ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।