আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

জাপানে টোকিওসহ চার প্রদেশে জরুরি অবস্থা

জাপানে টোকিওসহ চার প্রদেশে জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে জাপানে। বৈশ্বিক মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাজধানী টোকিওসহ চারটি প্রদেশে তৃতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। এটি কার্যকর হবে আগামীকাল রোববার থেকে। বহাল থাকবে ১১ মে বা দুই সপ্তাহের কিছুটা বেশি সময় পর্যন্ত। এর মধ্যে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ছুটিও রয়েছে।

জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড শুক্রবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা। টোকিও এবং পশ্চিমের জেলা ওসাকা, কিয়োতো এবং হিয়োগোতে এটি কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, আমি সপ্তাহব্যাপী ছুটির আগে আরেকটি জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের স্বল্প সময়ের জন্য খুবই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দিয়ে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সুগা আরো বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে জাপান। তবে, অপ্রয়োজনে বাইরে সময় দেওয়া, জনসংযোগ করা, জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকতে হবে। জাপানে গোল্ডেন উইকে সপ্তাহব্যাপী ছুটিতে সবাইকে ঘরে থাকারে আহবান জানান সুগা।

জরুরি অবস্থায় বন্ধ থাকবে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। খোলা থাকবে খাবারের দোকান। তবে তা বন্ধ করতে হবে রাত ৮টার মধ্যে। অ্যালকোহল বিক্রি বা কারাওকের ব্যবস্থা থাকা বার ও রেস্তোরাঁগুলোর পাশাপাশি শপিং মল এবং ডিপার্টমেন্ট স্টোরে বিক্রি বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে স্পোর্টস এবং বিনোদনের যে কোনো ইভেন্ট। একইসঙ্গে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাপানে প্রাদুর্ভাব ঘটা জেলাগুলোতে সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও বেশি সংক্রামক কিছু স্ট্রেইনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্ক রয়েছে কর্মকর্তারা। আজ টোকিওতে শনাক্ত হয়েছে ৭৫৯ জন। আক্রান্তের দিক থেকে রাজধানী টোকিওকে ছাড়িয়ে গেছে ওসাকা। সেখানে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ১৬২ জন। জাপানে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫৫ লাখ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট মারা গেছে ৯,৮১১ জন।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জাপানে | টোকিওসহ | চার | প্রদেশে | জরুরি | অবস্থা