দেশজুড়ে নতুন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী গণতন্ত্রপন্থিরা। সোমবার দেশটির জনগণকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও কৃষি ঋণ ফেরত না দিতে, সন্তানদের স্কুল থেকে দূরে রাখতে এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকট নিরসনে আসিয়ান সম্মেলনে শীর্ষ জেনারেলের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতি ঘৃণা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর পরদিন রোববার বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ দেখা গেছে দেশঁটির বড় শহরগুলোতে।
আন্দোলন জোরদার করার জন্য সোমবার থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা ও কৃষি ঋণ ফেরত না দেওয়ার এবং শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা।
রোববার মধ্যাঞ্চলীয় শহর মোনিওয়াতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে আন্দোলনকারী খানত ওয়াই ফিও বলেছেন, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সফল অসহযোগ গড়ে তুলতে শহরে, ওয়ার্ডে, অঞ্চল ও রাজ্যগুলোতে সবাইকে অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা তাদের কার্যপ্রণালীতে অংশ নেব না। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো না।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য টেলিফোন করা হলেও জান্তার মুখপাত্র কোন জবাব দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইতোমধ্যে একটি আইন অমান্য আন্দোলনের ধর্মঘটের কারণে মিয়ানমারের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে। অনাহারী মানুষের উত্থানের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো।
আসিয়ান সম্মেলনে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দেননি মিয়ানমারের এই জান্তা প্রধান। আসিয়ানের সমঝোতায় সংকট শেষ করতে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়াও হয়নি।
গেল এক ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমাতে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করে মিয়ানমারের জেনারেলরা। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৫০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।
এসএন