অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ৬৫ বছর বয়সোর্ধ্বদের না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের আরো দুইটি দেশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ইউরোপের মোট আটটি দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডেনমার্ক ও নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেওয়া হবে না। বয়স্কদের ওপর অক্সফোর্ডের টিকার প্রভাব সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুটি দেশই।
এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের ন্যাশনাল বোর্ড অব হেলথের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নথিপত্র পর্যালোচনা করেছি। বয়স্কদের ওপর কার্যকারিতার আরো তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের পরামর্শ হবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রথমে ৬৫ বছরের কম বয়সী মানুষকে দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, নরওয়ের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মুখপাত্র বলেছেন, আমরা চাই জাতীয় পর্যায়ে টিকা-সংক্রান্ত নীতিমালার জন্য সর্বত্তোম ও খুঁটিনাটি তথ্য থাকুক আমাদের হাতে।
এর আগে গেল বুধবার ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা না নেওয়ার সুপারিশ করে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ। শুধু ৬৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য অক্সফোর্ডের টিকার ব্যবহার সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইডেনও।
গেল বুধবার সব বয়সের মানুষের জন্য অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয়নি ইউরোপের আরেক দেশ সুইজারল্যান্ডও। দেশটি বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে তথ্য জমা দিয়েছে তা সব বয়সীদের অনুমোদনের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
এদিকে, জার্মানির দুইটি সংবাদপত্র হ্যান্ডলসব্ল্যাট ও বিল্ডের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছর বয়সোর্ধ্বদের জন্য তেমন কাজে আসে না। হ্যান্ডলসব্ল্যাটের প্রতিবেদন বলছে, ৬৫ বছর বয়সোর্ধ্বদের মধ্যে আট শতাংশ কার্যকর এই ভ্যাকসিন। আর বিল্ডের প্রতিবেদন জানায়, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ওপর ১০ শতাংশের কম কার্যকর অক্সফোর্ডের টিকা।
তবে নিজেদের টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মহামারির সময়ে তাদের টিকার বাস্তব প্রভাব রয়েছে। অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে চারটি মহাদেশের প্রায় অর্ধশত দেশে।
এসএন
