আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

সিনেমা হল নয়, শ্মশানের গেটে ঝুলছে ‘হাউসফুল’ নোটিশ

সিনেমা হল নয়, শ্মশানের গেটে ঝুলছে ‘হাউসফুল’ নোটিশ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণে বেসামাল ভারত, ভেঙে পড়েছে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থাও। করোনায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা রয়েছে সাড়ে তিন হাজারের আশেপাশে। এই অবস্থায় হাসপাতালের মর্গ, শ্মশান ও কবরস্থানগুলোতে উপচে পড়ছে মৃতের সংখ্যা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মর্গের বাইরেই পড়ে আছে মৃতদেহের সারি। শেষকৃত্যের জন্য স্বজনদের প্রহর গুনতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

মরদেহ শেষকৃত্যের জায়গা না থাকায় শ্মশানের গেটেও ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে ‘হাউসফুল’ নোটিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের চামরাজপেটের শ্মশানে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। এর পাশাপাশি অনেকের স্বাভাবিক মৃত্যুও হচ্ছে। তাই মৃতদেহ সৎকারের জায়গার অভাবে শ্মশানের বাইরে ‘হাউসফুল’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে শ্মশান কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি ভাইরালও হয়েছে। একই অবস্থা কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালোরের ১৩টি ইলেকট্রিক চুল্লির বাইরেও ঝুলছে হাউসফুল নোটিশ। প্রতিদিন করোনায় বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কর্ণাটকের চামরাজপেটের শ্মশানে প্রতিদিন ২০টি মৃতদেহ ঢুকিয়ে নিয়ে গেটে ‘হাউসফুল’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে। করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য বেঙ্গালোর মহানগর পালিকে-কে (বিবিএমপি) শহরের পাশেই ২৩০ একর জমি দিয়েছে সরকার। মূলত করোনায় মৃতদের সৎকারের কাজই এই জায়গা ব্যবহৃত হচ্ছে। তারপরেও শহরের আশপাশের শ্মশানে লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে। যা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৩৮ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২৩৯ জন। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যাও পার করেছে ১৬ হাজারের গণ্ডি।

মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্ণাটকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক এই করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যটি। ফলে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সিনেমা | শ্মশানের | গেটে | ঝুলছে | হাউসফুল | নোটিশ