এবার ফেসবুককে তাদের কৃতকর্মের জন্য রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি নিষিদ্ধই থাকছেন, এমন খবরের পরই এ হুমকি দেন তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানায়, এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ফেসবুক, টুইটার ও গুগল যা করেছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চরম বিব্রতকর, অপমানজনক। তার স্বাধীনভাবে কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানকে তাদের কৃতকর্মের জন্য রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সামাজিক যোগাযোগের এসব প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্তও বলে অভিহিত করেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার সুযোগ এদের আর দেওয়া হবে না।
এনবিসি নিউজ আরো জানায়, গেল ছয় জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই মার্কিন রক্ষণশীলদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরপর সর্বশেষ সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ হয় তারা। একইসঙ্গে ফেসবুকের একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব করার হুমকি দিয়েছে মার্কিন রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা।
বুধবার ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কত দিন বহাল থাকবে তার পুনর্মূল্যায়ণ করা দরকার। ওই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে এমন যৌক্তিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সাধারণ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হয়।
এর মধ্য দিয়ে এই প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পের ফিরে আসার সুযোগ তৈরির আভাস মিলছে। অন্তত ছয় মাসের মধ্যে স্থগিতাবস্থা সময়সীমার একটি পর্যালোচনা করতে হবে বলে জানায় বোর্ড।
সহিংসতার ঝুঁকি বিবেচনায় ছয় জানুয়ারির পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার পক্ষে সাফাই গায় ফেসবুক। ওভারসাইট বোর্ড জানায়, ট্রাম্প এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছেন যাতে সহিংসতার ঝুঁকির শঙ্কা ছিল। তিনি বারবার দাবি করে যাচ্ছিলেন, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে হারিয়ে দিতে জালিয়াতি হয়েছে।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিকে অবশ্যই এই সাজার পর্যালোচনা করতে হবে। কাউকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ফ্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে রাখা উচিত হবে না। ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিদের আবেদন নিয়ে শুনানির জন্য গেল বছর সামাজিকমাধ্যমটির সুপ্রিম কোর্ট হিসেবে পরিচিত ২০ সদস্যের ওভারসাইট বোর্ড গঠন করে ফেসবুক।
এসএন
