আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

করোনা টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়ের প্রস্তাবে জার্মানির বিরোধিতা

করোনা টিকার মেধাস্বত্ব ছাড়ের প্রস্তাবে জার্মানির বিরোধিতা

সাময়িকভাবে করোনাভাইরাসের টিকার ওপর থেকে মেধাস্বত্বের অধিকার বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট আইপিআর প্রত্যাহার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জার্মানি। জার্মান সরকার জানিয়েছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের সুরক্ষা কোন কিছু উদ্ভাবনের উৎস এবং তা সেভাবেই থাকা উচিত। টিকা উৎপাদনে কোনো বাধা দিচ্ছে না তারা। তবে আইপিআর গবেষণা ও আবিষ্কারের উৎস এবং এর সুরক্ষা দরকার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে জার্মানির সরকার জানিয়েছে, প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন সার্বিকভাবে টিকা উৎপাদনে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ঘাটতির স্থানগুলো হচ্ছে, উৎপাদনের সক্ষমতা ও উচ্চ মান ধরে রাখা। মেধাস্বত্ব এখানে কোনো বিষয় নয়। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে অংশীদার কোম্পানিগুলো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাধর অর্থনীতির দেশ জার্মানির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পে। করোনার বহুল ব্যবহৃত টিকা তৈরি করেছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনসের প্রধান থমাস কুয়েনি জানান, টিকার মান ও নিরাপত্তা নিয়ে আপসের চিন্তায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তিনি। বলেন, সরবরাহ প্রক্রিয়ায় ঘাটতি বা সমস্যা থাকতে পারে। তা নিয়ে কাজ করা দরকার। ধনী দেশগুলো প্রথম দিকে উৎপাদিত ডোজগুলো নিয়ে রাখছে, এটিও উদ্বেগজনক।

এদিকে, এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে আগে প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছিল সংস্থাটি। ওই সময় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ব্রিটেন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রও। তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন নতুন করে প্রস্তাবে সায় দেওয়ার ঘোষণা দিলে নতুন করে আলোচনায় আসে প্রস্তাবটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে ডব্লিউটিও। বিবিসি নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে সংস্থাটির প্রধান নাগোজি ওকোঞ্জো-আওয়েলা তিনি বলেছেন, সদস্য দেশগুলোর একটি বাস্তবসম্মত চুক্তিতে আসা উচিত। বর্তমান অসমতা একদমই যুক্তিযুক্ত নয়।

সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে সাময়িকভাবে করোনা টিকার ওপর থেকে আইপিআর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে যুক্ত হয় ৬০টি দেশ। প্রস্তাবে সায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এসব দেশের দাবি, আইপিআর প্রত্যাহার করা হলে জীবনরক্ষাকারী টিকার উৎপাদন করা যাবে অনেক দেশে। ফলে গরিব দেশগুলোতে দ্রুত টিকা পৌঁছানো যাবে।

তবে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিসহ প্রস্তাবের বিরোধীরা বলছে, আইপিআর প্রত্যাহার হলেই কাঙ্ক্ষিত ফল নাও মিলতে পারে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন করোনা | টিকার | মেধাস্বত্ব | ছাড়ের | প্রস্তাবে | জার্মানির | বিরোধিতা