লিটন দাসের অর্ধশত রান ও অধিনায়ক মুমিনুল হকে সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে বাংলাদেশ। এতে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ রানের।
টার্গেট সে হিসাবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিততে হবে ক্যারিবীয়দের। এ মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা। অর্থাৎ এই টেস্ট জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এ মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়তে হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৩ রান। ব্র্যাথওয়েট ১১ রানে ও ক্যাম্পবেল ৩ রানে ক্রিজে রয়েছেন।
এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুতে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিককে ব্যক্তিগত ১৮ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন কর্ণওয়াল। এটি ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কর্ণওয়ালের ৩য় উইকেট। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মুমিনুল হক-লিঠন দাসকে সঙ্গে নিয়ে করে ১৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এর মধ্যে লিটন দাস টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ অর্ধশত তুলে নেন। দলীয় ২০৬ রানের সময় ওয়ারিক্যানের বলে পয়েন্টে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে অবশ্য ১১২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৬৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
লিটনের বিদায়ের পর আর মাত্র ৮ রানই ক্রিজে টিকে ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম। গ্যাব্রিয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক মুমিনুল। অবশ্য তার আগে তিনি ১৮২ বল খেলে ১০ চারের সাহায্যে ১১৫ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। এটি ছিল টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ১০ম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের মাঠে ৭তম সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
মুমিনুলের বিদায়ের পর দলীয় ২২২ রানে তাইজুলকে বোল্ড করেন ওয়ারিক্যান। এক রান পরেই দলীয় ২২৩ রানে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজকেও বোল্ড করে ফেরান ওয়ারিক্যান। মিরাজের বিদায়ের সাথে সাথে মুমিনুল ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। হাতে এখনো পুরো একদিন রয়েছেন।
ক্যারিবীয়দের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কর্ণওয়াল ও ওয়ারিক্যান। বাকি ২টি উইকেট নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।
এর আগে তৃতীয় দিনে তাইজুল, নাইম ও মিরাজের ঘূর্ণিতে পুরোপুরি কুপোকাত হয় ক্যারিবীয়রা। স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান সংগ্রহ করতেই অলআউট হয় তারা। এরপরই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে চেপে ধরেন ক্যারিবীয়দের দীর্ঘদেহি ক্রিকেটার রাহকিম কর্ণওয়াল। প্রথম ওভারেই তামিম ও শান্তকে কোন রান করতে না দিয়েই ফেরত পাঠান তিনি।
তৃতীয় দিনের ৬ ওভার বাকি থাকতে গ্যাব্রিলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগের ইনিংসে অর্ধশত রান করা সাদমান ইসলাম।
এএ