আগামী ২ জুন ফাইজার থেকে এক লাখ ছয় হাজার ডোজ করোনা টিকা আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাইদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার টেলিফোনে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।
বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে সরকার।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু টিকা স্বল্পতায় এপ্রিলে এসে প্রথম ডোজ দেওয়া স্থগিত করে সরকার। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম এখনও চলছে।
দেশে এখনো অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকা ব্যবহার হয়ে আসছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
ভারত সরকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে সেরাম থেকে টিকা পাওয়া এখন অনিশ্চিত। এদিকে চীন থেকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার পাওয়া গেছে।
এস