আর্কাইভ থেকে ব্যাংকিং ও বীমা

৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে

৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের যেতে হবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদেপ্তরের আওতাধীন অফিসগুলোতে।

বুধবার (১৯ মে) দেশের তফসিলি ব্যাংক কিংবা ডাকঘর থেকে আর পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে। আর এই আদেশ ১৮ মে থেকে কার্যকর হবে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীনে বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস আছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র—পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে।

বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সর্বোচ্চ রয়েছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর মুনাফা দেয় সরকার। মেয়াদপূর্তির পর বিনিয়োগ করা অর্থও ফেরত দেওয়া হয়। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়েছিল, যা ২০১৫ সালের ২৩ মের পর কার্যকর হয়। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর সরকার জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমিয়ে দেয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একক নামে ৫০ লাখ এবং যৌথ নামে ১ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ সীমা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানা গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ৫ | বছর | মেয়াদি | সঞ্চয়পত্র | শুধু | জাতীয় | সঞ্চয় | অধিদপ্তরে