আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজা সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় ৮৮১ কোটি টাকার বেশি

গাজা সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় ৮৮১ কোটি টাকার বেশি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের স্বল্পপাল্লার প্রতিটি রকেট ধ্বংসে পাল্টা মিসাইল ব্যবস্থায় ইসরায়েলের আড়াই শ’ গুণ বেশি খরচ হচ্ছে। তেল আবিবে হামাসের ৮শ' ডলারের একটি রকেট নিশ্চিতভাবে ঠেকাতে আয়রন ডোমকে ছুঁড়তে হয় এক লাখ ডলারের দুইটি মিসাইল। এক ডলার সমান ৮৬ টাকা হিসাবে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনেই খরচ হয়েছে ৮শ' ৮১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামি জিহাদি দলগুলোর ছোঁড়া স্বল্পপাল্লার রকেট আকাশেই ধ্বংস করতে তামির ইন্টারসেপ্টেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম থেকে ছোঁড়া এসব মিসাইলের একেকটির দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলার।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়লের সংঘাত গড়ায় এগারো দিন। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তথ্য বলছে, গেল সপ্তাহে এমন অন্তত এক হাজারের বেশি তামির মিসাইল ছুঁড়েছে আয়রন ডোম। এতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, হামাসের ছোঁড়া স্বল্পপাল্লার কাসাম রকেটগুলোতে গাইডেন্স সিস্টেম নেই। সাধারণ ধাতব পাইপ ফ্রেমে তৈরি রকেটগুলো বানাতে খরচ পড়েছে মাত্র ৩০০ থেকে ৮০০ ডলার। চলমান সংঘাতে গাজা থেকে ৩১ শ'র বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

হামাসের সস্তা ও স্বল্পপাল্লার রকেটগুলো আকাশে ধ্বংস করতে কখনো দুইটি মিসাইলও ছুঁড়ছে ইসরায়েল। এতে হামাসের ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা দামের একটি স্বল্পপাল্লার রকেট নিশ্চিতভাবে আটকাতে ব্যয় করতে হয় এক কোটি ৭২ লাখ টাকা।

একে আর্থিক অপব্যয়ের সংঘাত বলছে অর্থনীতিবিদরা। গরিব ফিলিস্তিনের সংকট হবে বড়। তবে মার্কিন সহায়তা থাকায় অস্ত্রের বিপুল ব্যয় করেও ইসরায়েলকে আর্থিক চাপে পড়তে হবে না।

এদিকে ইসরায়েলের কাছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম অত্যাধুনিক ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজা | সংঘাতে | ক্ষেপণাস্ত্র | ব্যয় | ৮৮১ | কোটি | টাকার | বেশি