বাংলদেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। খাবার কেনার জন্য কেউ কেউ পরিবারের সম্পদ বিক্রি করছে। কেউ করছে ঋণ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিগত ছয় মাসে তাদের ওপর বড় আঘাত কী। জবাবে ৮৮ শতাংশ মানুষ খাদ্যের চড়া দামকে বড় আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ডব্লিউএফপি এর প্রতিবেদনে আলোকে রাজধানীর কাওরানবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা কয়েকজন সাধারণ ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চয় করাতো সম্ভবই না, উল্টো ঋণ করতে হচ্ছে, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে না পেরে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন অনেকে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, কয়েক বছর আগেও যে টাকায় ঢাকা থাকা-খাওয়া সম্ভব হতো সে টাকায় এখন আর চলেনা।
এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের যে দাম বাজারে আসলে সব কিছু ক্রয় করা সম্ভব হয়না । প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকের কম খাবার কিনতে হচ্ছে তাদের।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আগস্ট মাসের জরিপে বলা হয়, ওই মাসে পরিবারের খাদ্য কেনার জন্য ৬৪ শতাংশ মানুষ ঋণ নিয়েছেন। ২৯ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙেছে। আবার খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে। সবচেয়ে চাপে আছেন সিলেট ও বরিশাল বিভাগের মানুষ, হার ৭৫ শতাংশ।
আসাদ ভূঁইয়া