বড় ঘরের মেয়ে আর বড় ঘরের বউ শুধু তাই নয়, নিজের মেধা ও যোগ্যতায় বিনোদন জগতে নিজের স্থান এরইমধ্যে পাকা করেনিয়েছেন আলিয়া ভাট। তাই কখন তার সিনেমা মুক্তি পায়, তা নিয়ে যেমন রবরব শুরু হয়, তেমনি তার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে কোন খবর বের হলে নেটিজেনদের মধ্যে তা ছড়ি পড়ে।
বিয়ে আর বিয়ের পরই সন্তান আগমনে খবর, এই সব নিয়ে কম মাতামাতি হয়নি। এখন অপেক্ষা শুধু সন্তানের আগমন নিয়ে নয়, আলিয়া তার ব্যবসা- মা ও সন্তানের পোশাক নিয়েও অনেক পরিকল্পণা করে রেখেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। ভাবনাচিন্তার পরিধিও বাড়িয়ে নিচ্ছেন এই অবসরে।
জানা গেলো, বাচ্চাদের জামাকাপড়ের ব্যবসা আরও বড় করতে চান অভিনেত্রী আলিয়া ভাট্ট। তার নিজস্ব ব্র্যান্ডের ফ্যাশন আরও বৃহত্তর বৃত্তে পৌঁছে যাক, এমনই চান অভিনেত্রী।
দেশের বাইরে আপাতত কোথায় কোথায় ব্যবসা চালু করছে আলিয়ার ব্র্যান্ড ‘এড-আ-মাম্মা’? সূত্রের খবর, পরের বছর থেকেই আসছে নতুন পরিকল্পনা। আরব আমিরশাহি আর ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে আলিয়ার পোশাক বিপণী।
আলিয়া জানান, ‘এড-আ-মাম্মা’ তার প্রথম বাণিজ্যিক উদ্যোগ। শিশুদের জন্য অল্প দামে ভাল মানের পোশাক তৈরিই তার লক্ষ্য। যা পরে আরাম পাবে নবজাতক।
ভাবনা মাথায় এসেছিল আগেই। মা-ঠাকুমাদের হাতে তৈরি নরম পোশাক এখনকার বাচ্চারা আর পায় না।
আলিয়া মনে করেন বাচ্চাদের জন্য এ দেশে এখন উপযুক্ত পোশাকের অভাব। সামর্থ্য থাকলেও কেনার মতো ভাল পোশাক পাচ্ছেন না সদ্য মা-বাবারা। সব দিক বিবেচনা করেই শিশুদের জন্য একটি পোশাকের সংস্থা খুলেছিলেন অভিনেত্রী আলিয়া। ৬০ জন কর্মচারী নিয়ে শুরু হয়েছিল সেটি। ১৬০ রকমের পোশাক ছিল। আর সেখানেই এখন প্রচুরকর্মী। ১৮০০ রকমের ফ্যাশন সম্ভার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, প্রথম দুবছর আমি সংস্থার সঙ্গে নিজের নাম জড়াইনি। দেখতে চেয়েছিলাম, আমার নাম ছাড়াই নিজগুণে পোশাক বিক্রি হয় কি না! শেষ ৩ মাসে আমাদের পোশাক বিক্রি দশ গুণ বেড়েছে। তাই বড় করে ভাবছি। লাইফস্টাইল আর শপা্ররস স্টপ-এর সঙ্গে চুক্তিতে এসেছি। আমাদের পণ্য চল্লিশটি আউটলেটে পৌঁছে যাবে মাসের শেষেই।
২০২০ সালের অক্টোবর মাস। বাচ্চাদের পোশাকের সম্ভার নিয়ে আসে ‘এড-আ-মাম্মা’। সে বার অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, যার নিজেরই সন্তান নেই, তিনি শিশুদের পোশাক নিয়ে কাজ করবেন কী ভাবে! এ বার সে ধরনের কোনও প্রশ্ন উঠবে না বলেই মনে হচ্ছে মা হতে চলা আলিয়ার। ভাবছেন বিশ্বের সমস্ত হবু মায়ের কথা। হাতের সামনে সদ্যজাতের জন্যও উপযুক্ত পোশাক পেলে দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন তারাও। সেই ভেবে ক্রমশই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, এই আলিয়ার ইচ্ছে। শুধু বাচ্চাদের নয়, হবু মায়েদের পোশাক নিয়েও ভাবছে এই সংস্থা।
নিজের ইনস্টাগ্রামে আলিয়া জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ক্রমাগত বদল আসে দেহে। কিন্তু সাজ-পোশাকের পছন্দ তো এত দ্রুত বদলায় না। তাই এই সময়ে কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, তা নিয়ে অনেকের সংশয় তৈরি হয়। তবে উপায় কী? সমাধান বাতলে দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। জানিয়েছেন, তিনি নিজেই স্ফীতোদরের সঙ্গে মানানসই পোশাক বানানো শুরু করেছেন।
আলিয়া লিখেছেন, আমি নিজের পছন্দের জিন্সগুলিতে ইলাস্টিক লাগিয়ে নিয়েছি। বরের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে না, এমন কিছু জামাও বানিয়েছি। আর পেটে যাতে চাপ না লাগে, তাই ঢলঢলে পোশাক পরেছি।
নায়িকা আরও জানান, দেখতে কেমন লাগছে, তার থেকেও অনেক বেশি জোর দিচ্ছেন আরামের উপর। আর নিজের তৈরি এই পোশাকের নকশা কাজে লাগিয়েই তিনি শুরু করেছেন মাতৃত্বকালীন পোশাকের বিশেষ ব্র্যান্ড। সেই সঙ্গে বাজারে আসছে মনোরম শিশুপোশাক।