রাজধানীর কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নারী চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ। তার গলা ও পিঠে জখমের দাগ রয়েছে। হত্যার পর আগুন দেয়া হয় তার রুমের তোশকে। ওই নারী চিকিৎসকের মামাহারুন অর রশীদের দাবি লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেন ভবনের নিজ ঘর থেকে ডা. লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় তার মামা হারুন অর রশীদ বলেন, লিপির ঘাড়ে ও পেছনে কোপের দাগ। এটি পরিকল্পিত হত্যা। তার রুমে আগুনের চিত্র থাকলেও এটি সাজানো ঘটনা।
তিনি বলেন, সকালে ফোনে জানতে পারি আমার ভাগনি লিপি মারা গেছে। এরপর এই বাসায় এসে দেখি লিপির রুমে ছাই পড়ে আছে। এটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে যাতে করে মানুষ বোঝে সে আগুনে মারা গেছে।
লিপি চট্রগ্রাম থেকে ডাক্তারি পাশ করেছেন। গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, তিন রুমে বাসার একটিতে তিনি একাই থাকতেন। বাকি দুটি কক্ষে সাবলেট দিয়েছিলেন।
তার স্বামী শামসুদ্দীন আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন, থাকেন শান্তিনগরে। শামসুদ্দীন আজাদ সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী। তার আগের স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি চিকিৎসক ছিলেন।
শামসুদ্দীন আজাদ বলেন, আমি সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে এখানে আসি। পুলিশ প্রথমে ভেতরে ঢুকতে দেয় নাই। পরে ভেতরে ঢুকে দেখি রক্তাক্ত লাশ। আমি কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
লিপির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলের বয়স ২১ বছর আর মেয়ের ১০ বছর। দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছেলে আগের স্বামীর ঘরের।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জানান, ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, আগুনে দগ্ধ হয়ে নয়, চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। সাবিরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন- সাবলেটে থাকা এক নারী, ওই নারীর এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান।
