গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে ইসি এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় বাড়িয়েছে। এতে করে এই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে আগামী বছর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেল কমিশন।
আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) ইসির যুগ্ম সচিব (পরিচালক-জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেলো ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণসহ সকল নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে, জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ওই শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই ৯০ দিবসের মেয়াদ ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সমাপ্ত হবে। কিন্তু গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সব আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ৮ দিনের মধ্যে পুনঃনির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এখতিয়ারের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাইবান্ধা ভোট বন্ধের অবস্থাটি অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা ৫ শূন্য আসনের শূন্য পদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরবর্তী সব কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দ্বৈবদুর্বিপাকে ওই সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরও ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারেন। করোনা মহামারির সময় বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে এভাবে সময় বাড়িয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।