চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের কোভিড টিকাকে জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। ফলে বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে এই টিকা। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো চীনা ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিলো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানটি। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা যাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডব্লিউএইচওর অনুমোদনের ফলে এখন থেকে কোভ্যাক্স প্রোগ্রামেও ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করা যাবে। ভ্যাকসিনগুলোর সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। চীনের সিনোভ্যাক টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান থাকবে দুই থেকে চার সপ্তাহ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়ার মানে হলো সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং উত্পাদনের দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সিনোভ্যাকের টিকা করোনায় আক্রান্তদের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের লক্ষণজনিত রোগ প্রতিরোধ করেছে। চীনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত কোভ্যাক্স প্রোগ্রামকে আরো গতিশীল করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর স্বাস্থ্য পণ্য অনুমোদন বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিশাল আকারে সরবরাহের বৈষম্য মোকাবিলায় জরুরিভাবে একাধিক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। আমরা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে কোভাক্স সুবিধায় অংশ নিতে অনুরোধ করি। তাদের জ্ঞান এবং তথ্য শেয়ার করুক এবং মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবদান রাখুক।
এ নিয়ে চীনের দ্বিতীয় টিকা জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র পেল। এর আগে গেল মাসে প্রথম চীনা সংস্থা হিসেবে করোনা টিকার ছাড়পত্র পায় সিনোফার্ম।
বিশ্বে এখন ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। প্রথম থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ডব্লিউএইচও। কোভ্যাক্স নামের একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে টিকা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সংস্থাটি। যত টিকা তৈরি হবে এবং বিশ্বে তাদের উপস্থিতি বাড়বে। এতে আরও তত বেশি মানুষ টিকা পাবে। তাই চীনের টিকার ছাড়পত্র পাওয়ার ঘটনাকে আশার আলো হিসেবে দেখছে অনেকেই।
অবশ্য আগে থেকেই বিশ্বের ২২টি অঞ্চলে এখন সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহার শুরু হয়েছে। এই টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে ব্রাজিল, চিলি, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডেও।
এসএন
