বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে সাতক্ষীরায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের পানি। এদিকে, আবহাওয়া অফিস থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাতক্ষীরায় ইতোমধ্য দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সরাসরি সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানবে না। তবে উপকূলীয় নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে সাতক্ষীরা উপকূলে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও পাউবি-২ এর আওতায় মোট বেড়িবাঁধ আছে ৭০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩৫ পয়েন্টে ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে।
অপরদিকে উপকূলীয় জনপদের মৎস্যঘেরগুলো বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় জনপদের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, উপকূলীয় উপজেলা প্রশাসনকে দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সরকারি ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজসহ ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় জেলায় সাইক্লোন শেল্টারের সংখ্যা অনেক কম।