দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, সরকারের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গেলো রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক আলোচনা সভায় তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। ২৫ ডলার দাম ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ছয় মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন- আগামীতে যে অবস্থা আসছে, দিনেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়টি একটু পরিষ্কার করবেন?
জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৌফিক-ই-ইলাহী সাহেব যেটি বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত কথা। সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তৌফিক-ই-ইলাহী সাহেব নিজে কেন এ কথা বলেছেন সেটার ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন। সরকারের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
খুলনায় বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন যে, তাদের সমাবেশ দেখে এই হয়েছে সেই হয়েছে। আমাদের কর্মীরা বলছেন, আমাদের একটু কাতুকুতু লেগেছে। ভয় লাগা তো দূরের কথা আমাদের একটু কাতুকুতু লেগেছে। আসলে ওনারা দুই হাজার মানুষের সমাবেশ করেন তো যখন ১০-১৫ হাজার মানুষ দেখেছেন তখন একটু খেই হারিয়ে ফেলেছেন, এটিই হলো ঘটনা।
তিনি বলেন, বিএনপি খুলনায় সমাবেশ করতে গিয়ে রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে, দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করেছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন, বাস-লঞ্চ বন্ধ। বাস-লঞ্চের মালিকরাই কিন্তু ধর্মঘট করেছেন, এখানে সরকার বা সরকারি দলের কোনো হাত নেই। বাসমালিকদের ধর্মঘটের কারণ হচ্ছে তারা ২০১৩-২০১৪ সালে যেভাবে বাসে আগুন দিয়েছিলেন, জীবন্ত শ্রমিক পুড়িয়ে হত্যা করেছেন এজন্য মালিকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ কারণেই তারা ধর্মঘট ডেকেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সেখানে বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। আমি আশা করি, এ আশঙ্কা যেন বিএনপির বেলায় না ঘটে। সেটিই আমার প্রত্যাশা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হচ্ছে অতীতে তারা যেটা বলেছিলেন তাদের ক্ষেত্রেই সেটি ঘটেছে। আওয়ামী লীগের বেলায় নয়।