৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের নেয়া পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গর্ভনর- এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দুদকের কাছে নেই।
দুদক আরও জানিয়েছে, ৩৭০০ কোটি টাকা লোপাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ গভর্নরসহ কর্মকর্তারা জড়িত ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পিকে হালদারসহ অর্থপাচারের ৩৪টি মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং অডিট ফার্মগুলোর সংশ্লিষ্টতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।