কারিগরি ক্রটির সমাধান করে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর শুরু হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে লেনদেন শুরুর কথা বলা হয়। তবে সেটিও পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর সময় ঠিক করা হয়। পরবর্তীতে আরও আধা ঘণ্টা পিছিয়ে লেনদেনের সময় বেলা ১১টা করা হয়।
সাধারণত সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে, তবে সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে ডিএসইর লেনদেন নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পরে পুনরায় চালু হবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, সকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাধীন ৭০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপের কথা ছিলো। তবে ভুলবশত এক্সচেঞ্জের সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়। ফলে পুরো স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গেলো সোমবারও (২৪ অক্টোবর) কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে লেনদেন বিঘ্ন ঘটে। ওইদিন লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা ২৮ মিনিট পর সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ত্রুটি সারিয়ে মাত্র ২০ মিনিটের লেনদেন হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দিন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, লেনদেন চলাকালে সময়ে ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিএসইসির পরিচালক আবুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কী কারণে লেনদেন বন্ধ হলো সেটিসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে না কি অন্য কিছু আছে তাও খতিয়ে দেখবে কমিটি। এর জন্য কারা দায়ী তাও দেখবে কমিটি।
গেলো সপ্তাহের কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইর লেনদেন ৫০০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। সাধারণত, কোন শেয়ারের দর যদি তার বেধে দেয়া সীমার বাইরে হঠাৎ বেড়ে যায় তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন বন্ধের প্রক্রিয়াকে সার্কিট ব্রেকার বলে।