ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওরেভা কোম্পানির কয়েকজন ম্যানেজার ছাড়াও রয়েছেন সেতুর টিকিট কালেক্টর, সেতুর পুনঃসংস্কার করা ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তাকর্মী; যাদের দায়িত্ব ছিল ভিড় সামাল দেয়া।
এ বিষয়ে গুজরাট পুলিশের রাজকোট রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) অশোক যাদব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়েরের পর আমরা নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে আছেন ওরেভা গ্রুপের দুই ম্যানেজার, দুইজন টিকিট কালেক্টর, দুইজন ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। গাফিলতির জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঝুলন্ত এই সেতুটি ভেঙে পড়ার ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনে। এছাড়া আহতও হয়েছেন অনেকে। প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনের অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত মোরবির ঝুলন্ত এই সেতু ভারতের ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায়ও রয়েছে। গুজরাটের স্থানীয় নববর্ষ উপলক্ষে মেরামতের পর গত চারদিন আগে (২৬ অক্টোবর) সেতুটি পুনরায় খুলে দেয়া হয়।
মোরবি পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথ ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেতুটির মেরামত ও সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই ওই ট্রাস্ট সেতুটি খুলে দেয়।
ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা, ৩০৮ ধারা এবং ১১৪ ধারায় মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজকোট রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল বলেন, ‘মোরবিতে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমবেদনা প্রকাশ করছি। সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা করেছি। উদ্ধারকাজ তত্ত্বাবধানে পুলিশ কাজ করছে।’
সেই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, যখনই আমাদের হাতে কোনো তথ্যপ্রমাণ আসবে, আমরা জড়িতকে গ্রেপ্তার করব। এরইমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।