আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

অভাব থেকে বাঁচার দোয়া

অভাব থেকে বাঁচার দোয়া

মানুষ সৃষ্টিকর্তার তৈরি করা সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। আল্লাহ যেমন তার বান্দাদের সর্বশ্রেষ্ঠ করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তেমনি তার জন্য জীবনকে সচল রাখতে অনেক বাধা- বিপত্তিও দিয়েছেন। তিনি সবাইকে পরীক্ষা করেন সেটা আমরা সবাই জানি। কাউকে অভাব- অনটন, রোগ-ব্যাধি, ধন-সম্পদ এমন অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীণ করেন। যেন আমরা এক মূহুর্তের জন্যেও তার পথভ্রষ্ট না হই। তাই যিনি অভাব অনটনে আছেন তিনি জানেন তার দিন কীভাবে যায়। আবার যিনি অসুস্থ তিনি জানেন যে সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। আর ধন-সম্পদ যার আছে তিনি আসলে সুখী আছেন কি না সেটা শুধু তিনিই জানেন। 

যে কোনো কষ্ট কিংবা বিপদ থেকে উদ্ধার হতে হলে আগে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। মহান আল্লাহর কাছে চাইতে হবে তিনি যেন সবার কষ্ট কমিয়ে দেন। 

যারা আল্লাহ তাআলার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য রয়েছে সফলতা। দুনিয়ার সর্বোত্তম সফলতা হলো অভাবমুক্ত থাকা।  তাই আল্লাহ তাআলা মানুষকে সময় মতো তার বিধান তথা হুকুম যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ততা বা তাড়াহুড়ো কিংবা অলসেমি নয় বরং সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেষিত ও নির্ধাররিত ইবাদত যথাযথ পালন করে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও স্বচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন লাভের পাশাপাশি পরকালের সফলতা লাভ করা আবশ্যক।

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকাল-হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা কামনা করছি।

উপকার : আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭০৭৯) 

ইসলাম এমন এক শান্তির ধর্ম যেখানে সবকিছুর সমাধান রয়েছে। একজন মানুষ কেবল তখনই শান্তির ধর্মের প্রকৃত অনুসারী হতে পারে যখন সে আল্লাহর সব নির্দেশাবলির ওপর আমল করে চলে। আল্লাহর নির্দেশাবলির ওপর পরিপূর্ণ আমল করলে রিজিকেরও ঘাটতি হতে পারে না। মূলত আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। 

রিজিকের মালিক আল্লাহ। তিনি যাকে চান প্রভূত রিজিক দান করেন। আমাদের কাজ হলো তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা। আর ইবাদত কবুলের পূর্বশর্তই হলো হালাল জীবিকা উপার্জন করা।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অভাব | বাঁচার | দোয়া