আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশের দুইদিন আগে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কী কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। অলিখিতভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হলেও স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি। আগামী শনিবার (৫ নভেম্বর) পর্যন্ত স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাস মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর সব ধরনের তিন চাকার যানের ধর্মঘটের ডাক দেয় বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে ৪-৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিকদের সংগঠন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের মতো সরকারি দলের ইন্ধনে এই অপকৌশল নেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। গেলো ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশটি নির্বিঘ্নে হলেও ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুরে গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিএনপির অতীতের নানা কর্মসূচিতে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ভয়ে মালিকরা বাস বন্ধ রাখছে, এতে সরকারের হাত নেই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভোলাবরিশাল | রুটে | লঞ্চ | চলাচল | বন্ধ