অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি (গরীব) (ইডব্লিউএস)-র জন্য কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত যে বৈধ, তা মনে করেন এই মামলায় শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির মধ্যে ৪ জনই। সোমবার তাদের পর্যবেক্ষণ, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচারে এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই বৈষম্যমূলক নয়।
এই মামলার রায় দানের সময় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ, ‘অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনও ভাবেই (সংবিধানের) মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না।’
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীতে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব এনেছিল মোদি সরকার। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বলবৎ হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ঘটনাচক্রে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনের হারের মুখ দেখে বিজেপি। পাশাপাশি, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংবিধানের মূলগত সাম্যের নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা পার করছে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত, এমন দাবিও করেছিলেন আবেদনকারীরা।
এই মামলা নিয়ে গেলো সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায় অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন শীর্ষ আদালত। সোমবার রায় দানের সময় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট্ট ছাড়া বাকিরা এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।