আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে যুব সংগঠনটি আজ শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বেলা আড়াইটায় এ মহাসমাবেশ শুরু হবে। মহাসমাবেশে যোগ দিতে আজ সকাল থেকেই যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দীমুখী হচ্ছেন।
শাহবাগ, মৎস্য ভবন, রমনা, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বরসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চার দিকেই নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে যুব সমাবেশ শুরু হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম যুব সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ দেশের যে কোন সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে পরশ বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি জানান, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ১১ নভেম্বরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের যে কোন ধরণের নৈরাজ্য মোকাবেলা করতে রাজপথে থাকবে। যুবলীগ বিশ্বাস করে যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি পরাজিত হলে, বাংলাদেশ হারবে। কারণ দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৯২ দিনের অবরোধের কথা ভুলে যায় নি। পরশ বলেন, অবরোধকালে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশের নিরীহ মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা এবং ৫৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত করেছিল। তারা (বিএনপি-জামায়াত) দেশকে বার্ণ ইউনিটে পরিনত করেছিল। যুব মহাসমাবেশের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণ জনসমুদ্রে পরিনত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি জানান, যুব মহাসমাবেশকে সফল করতে মোট দশটি সাব কমিটি করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়েছে।