সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলাপ, বিয়ে, সংসার, অশান্তি, বিচ্ছেদ। আবার প্রেম, আবার বিয়ে, আবার সংসার। দম্পতিদের মধ্যে এমন ঘটনা তো রোজই ঘটছে। এ আর নতুন কী! কিন্তু এবারের এই গল্পে আছে নতুন মোড়।
২০০৫ সালে অনলাইন ডেটিং সাইটে আলাপ হওয়া ড্যনিয়েলকে বিয়ে করেন টম। টমের এক দত্তক সন্তান এবং যুগলের আরও তিন সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তাদের। অস্ট্রেলিয়া নিবাসী টম পেশায় নৌ-স্থপতি। কাজের সূত্রে তাকে বেশির ভাগ সময়ই বাইরে থাকতে হয়। নিয়মিত কথাও হয় না দুজনের। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল।
এই অশান্তি থেকে পাকাপাকি ভাবে মুক্তি পেতে ২০১৫ সালে তারা দু’জনেই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। অবশ্য ড্যানিয়েলের মতে, আলাদা থাকলেও দু’জনেই দু’জনের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন। মুখে প্রকাশ না করলেও একে অপরের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীলও ছিলেন তারা।
দীর্ঘ দিন আলাদা থেকে, একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রেখে, দু’জনেই নতুন সঙ্গীর খোঁজ করতে শুরু করেন। কিন্তু কোন ভাবেই তারা, তাদের মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই এক দিন মনোবিদের সাহায্যে ড্যানিয়েল বুঝতে পারেন যে পুরনো সম্পর্কের রেশ এখনও তার মনে থেকে গিয়েছে। তাই বোধ হয় আরও এক বার টমের ব্যাপারে ভেবে দেখা যেতে পারে। মনে এক রকম দ্বন্দ্ব নিয়েই ড্যানিয়েল, এক দিন লিখে ফেলেন মনের কথা। উল্টোদিকে থাকা টমও হাত বাড়িয়ে দেন। বলেন, “আমাদের দেখা করা প্রয়োজন।”
প্রথম দিকে বন্ধুদের এবং সন্তানদের কিছু টের পেতে দেননি তারা। সকলের চোখে ধুলো দিয়ে রীতিমতো প্রেম করেছেন, রেস্তোরায় খেয়েছেন। ডেটিং শেষে তারপর যে যার বাড়ি ফিরেও গিয়েছেন। ধীরে ধীরে যখন দু’জনের বুঝতে পারছেন দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারবেন না, তখন শেষমেশ আবার ভাঙা বিয়ে জোড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন টম-ড্যানিয়েল।
ড্যানিয়েল বলছেন, তাদের এই প্রেম কাহিনি আর পাঁচ জনের মতো নয়। তার মনে হয় এই ঘটনা থেকে তাদের সন্তানরা শিক্ষা নেবে। তারা একদিন নিশ্চয়ই বুঝবে যে, সম্পর্ক সব সময় সহজ হয় না। কিন্তু মানুষ নির্বাচনে ভুল না করলে, তাকে পাওয়ার জন্য সারা জীবন লড়াই করা যায়।
সূত্র: দি গার্ডিয়ান