বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা মরদেহটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ–কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের (৫১)।
রোববার (১৩ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাগলা নৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এসআই শাহজাহান আলী বলেন, দুরন্ত বিপ্লবের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ইলাশপুর গ্রামে। তিনি কেরানীগঞ্জে ভাড়া থাকতেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে নদীর তীরে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মরদেহটি তিন থেকে চার দিন আগের বলে ধারণা করা হচ্ছিল। মরদেহটি নদীর তীরে আটকে পচে ফুলে গেছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মরদেহের ছবি দেখে সেটি নিখোঁজ দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করেন তার ছোট বোন শ্বাশতী বিপ্লব। দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় তার পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল।
দুরন্তের ছোট বোনের স্বামী ইমরুল খান গণমাধ্যমকে বলেন, দুরন্ত বিপ্লব নিখোঁজের ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি অর্গানিক কৃষি নিয়ে কাজ করতেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তার মাছের খামার ও কৃষি খামার আছে। তার কোনো শত্রু ছিল না। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তারা বুঝতে পারছেন না।