রাজধানীর পল্লবী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেল সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেটকিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেসিটগেশন বিভাগ। বিষয়টি আমলে নিয়ে সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে পুলিশ।
সেই অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা হতে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসাসি মো. মফিজুর রহমান মামুন মর্মে জানা যায়।
তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
মামুন একসময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে পালিয়ে ভারত যান। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেফতার হন এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন তিনি।
কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হন।
মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। অপরাধ জগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
এস মুন্নী
