ত্বকের মৃত কোষ ও ময়লা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে। আর এ থেকে তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস। সাধারণত নাকের দুপাশে, কপালে, গালে কালো ব্ল্যাকহেডস দেখা যায়। এতে মুখের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও বিবর্ণ হয়।
ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য স্ট্রিপ লাগিয়ে অনেকে মুক্তি পেতে চান। এতে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। এ কারণে কোনো প্রসাধনী বা পণ্য ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ব্ল্যাকহেডস দূর করা যেতে পারে।
মধু: মধু হচ্ছে সেরা উপকরণ। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস দূর করার জন্য প্রথমে একটি কটন প্যাডে মধু নিন। তারপর সেই প্যাড ত্বকের হেডসে প্রায় ২০ মিনিটের মতো প্রলেপ করুন। এরপর ক্লিনজার দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন মুখ। দিনে অন্তত একবার করে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য মধুর সঙ্গে অন্য কোনো উপকরণ মেশানোর প্রয়োজন নেই। আর মধুর ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার ও দাগহীন মসৃণ হয়ে উঠে।
নারকেল তেল ও কফি: ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করা সম্ভব। এ জন্য প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল নিয়ে তাতে আধ কাপ কফি গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্ক্রাবার করে নিন। তারপর পেস্টটি মুখে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন কিছুক্ষণ। এভাবে ৮ থেকে ১০ মিনিট করার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ওটস ফেসপ্যাক: এই প্যাকটিও দুই প্রকারের হেডসই দূর করতে উপকারী। এর আলাদা উপকারিতাও রয়েছে। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে ত্বক কাচের মতো ঝকঝকে পরিষ্কার হয়। ফেসপ্যাকটি বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে এক তৃতীয়াংশ ওটমিল গুঁড়ো নিন। সঙ্গে ২ চা চামচ দই ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। তারপর মুখ, ঘারে, নাকের উপর ভালো বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ৩ থেকে ৫ মিনিট স্ক্রাব করার পর দশ মিনিটের মতো অপেক্ষা করুন। এখন হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।