‘এটা অসাধারণ একটা মুহূর্ত। সম্ভবত এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার ও আমাদের স্বপ্নপূরণের এটাই শেষ সুযোগ। এটাই বাস্তবতা।’ বললেন লিওনেল মেসি।
এবার ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে এসে মেসি সেই স্বপ্নের ট্রফি কি উঁচিয়ে ধরতে পারবেন? আর্জেন্টাইন ভক্তদের এখন এই প্রশ্ন।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামার আগে তাই শেষবারের মতো স্বপ্ন পূরণের কথাই জানালেন সাত বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
চারবার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন লিওনেল মিসি। একবার ফাইনালে খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছে তাকে। আরও একবার বিশ্বকাপে মঞ্চে বর্ষসেরা এই তারকা। পঞ্চমবারের মতো গ্রেটেস্ট শো অন দ্যা আর্থ-এ আর্জেন্টিনাকে আরও একবার বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন তিনি। মনে অনেক লালিত স্বপ্ন।
২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির বয়স হবে ৩৮ বছর। স্বভাবতই এই বয়সে বিশ্বকাপে খেলতে পারাটা অনেকটাই অসম্ভব। মেসিও তাই বাস্তবতাকে স্বীকার করে বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এটাই সম্ভবত তার শেষ বিশ্বকাপ।
সবশেষ সৌদি আরবের সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেসি। যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন কোচ স্কালোনি। স্বভাবতই সবার প্রশ্ন মেসির কাছেই।
বিশ্বকাপের আগে বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েছিলেন মেসি। যে কারণে বিশ্বকাপে তাকে নিয়ে শঙ্কা উঠেছিল। কিন্তু সব শঙ্কা পেছনে ফেলে সৌদি আরবের বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি। আর এখন আগের থেকে সুস্থও তিনি।
মেসি বলেন, আমি এখন খুব ভালো বোধ করছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুণ সময় কাটিয়ে এখানে এসেছি আমি। আমাকে নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমি দেখেছি আমার ইনজুরি নিয়ে পত্রিকাগুলো নিউজ করেছে। এটা তেমন কিছু না। কিছুটা ক্লান্তি কাজ করছিল। আমি আলাদা করে কিছু করিনি, শুধু নিজের খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছি।
মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে মেসি বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমরা দারুণ উপভোগ করছি এবং বিশ্বকাপে খেলতে পারাটাও এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
বর্তমানে আর্জেন্টিনা দলটার ওপর বেশ ভরসা রাখছেন মেসি। যা তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৪ বিশ্বকাপের কথা।
মেসি বলেন, এই দলটি আমাকে ২০১৪ বিশ্বকাপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমরা তখন অনেক একতাবদ্ধ ছিলাম এবং আমাদের কী করতে হবে সে ব্যাপারে বেশ অবগত ছিলাম। এবারও তেমনটা অনুভব করছি আমি।