শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাবার পথে শহরের রঘুনাথপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৬ পুলিশ সদস্য ও ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, দুপুর পৌনে তিনটার দিকে আমার বাসা থেকে জেলা বিএনপির অফিসে যাবার পথে ডিবি পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় অতর্কিতভাবে হামলা শুরু হলে এক পর্যায়ে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও চল্লিশ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া বলেন, আমাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল, তারা নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রায় তিন হাজার ইট পাটকেল তারা নিক্ষেপ করে। আমাদের প্রস্তুতি থাকায় আমরা তাদের নিবৃত্ত করতে পেরেছি। যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।