ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আবারো টেবিল টপার আবাহনী। শাইনপুকুরের বিপক্ষে ২৫ রানে জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। টেবিলে প্রাইম ব্যাংকের সমান ১০ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে আকাশী নীল। বিপরীতে হারের বৃত্তে বন্দী মোহামেডান। রূপগঞ্জের কাছে ৯ উইকেটে ধরাশায়ী মোহামেডান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চিরচেনা রূপে ফিরেছে আবাহনী। ষষ্ঠ রাউন্ডে বদলে গেল টেবিলের চিত্র। ব্যাক টু ব্যাক জয়ে শীর্ষে আকাশী নীল।
বিকেএসপিতে আবাহনীর দুই আফিফ-নাঈমের শতরানের পার্টনারশিপ ভাঙ্গে ১৩তম ওভারে। আফিফ ৫৪তে কাটা পড়লেও নাঈমের উইলোতে থেকে আসে ৭০ রান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৮৩ রানের বড় পুঁজি আবাহনীর। তবে বৃষ্টি বিড়ম্বনায় তিন ওভার কমে আসে প্রতিপক্ষ শাইনপুকুরের ইনিংস। লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৯। তবে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে ১২৩ রানের বেশি করতে পারেনি শাইনপুকুর। তিন উইকেট সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে
আকাশী নীলদের ঠিক বিপরীতে মোহামেডান। টানা তৃতীয় হারের তিক্ততা সাদাকালো শিবিরে। রূপগঞ্জের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।
শুভাগত হোমের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৯ উইকেটে ১১৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাদা কালোরা। ব্যাট হাতে এদিনও ফ্লপ সাকিব। আসরে দ্বিতীয় দিনের মত ফেরেন শূন্য রানে। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে রূপগঞ্জ। মেহেদী মারুফ ৪১ রানে আউট হলেও পিনাক অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে।
এদিকে রোমাঞ্চকর ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৩ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। বিকেএসপিতে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে তামিম ইকবালের দল। অধিনায়কের ব্যর্থতার দিনে মিডল অর্ডারে মিঠুনের ৫৫ রান ইনিংস সর্বোচ্চ।
এদিনও বল হাতে উজ্জ্বল মোস্তাফিজের শিকার তিন উইকেট। আসরে ১৩ উইকেট নিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে কাটার মাস্টার। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪৮ রানে থামে দোলেশ্বর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দোলেশ্বরের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। কামরুল ইসলাম চার ছয়ে ২৭ রান তুললেও দলকে জেতাতে পারেননি। প্রথম হার দোলেশ্বরের।
এএ