পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক শিক্ষিকাকে স্কুল চত্বরের মধ্যেই চুলের মুঠি ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ভারতে আসামের ডিব্রুগড় জেলার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের ২২ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। মারধরের পর ওই শিক্ষিকা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা।
স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল রথীশ কুমার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকা ইতিহাস পড়াতেন। তিনি একটি ছাত্রের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার পড়াশোনার অমনোযোগ নিয়ে। রোববার অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠকেই ওই অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই সন্ধ্যার দিকে একদল পড়ুয়া মারধর করে শিক্ষিকাকে। পাশাপাশি তার চুলের মুঠি ধরেও টানা করে।
পরে কয়েকজন শিক্ষিকা ও স্কুলকর্মীরা এসে তাকে ছাত্রদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। এমনিতেই ওই শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রথীশ কুমারের জানান, দশম ও একাদশ শ্রেণির ২২ জন ছাত্র রয়েছে ওই হামলা করেছে। পরের দিনই আমি তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠাই আমার বাড়িতে। সে কথা জানতে পেরে অভিযুক্তরা আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছে। এমনকী আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করে। এরপরই আমি মোরান থানায় এসে অভিযোগ করি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়নি। তবে ডিব্রুগড় ডেপুটি কমিশনারের দপ্তরে খবর গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। গোটা ঘটনাটিকেই ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ডিব্রুগড়ের জেএনভি সমিতির সহকারী কমিশনার।