জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। ইয়েমিনা পার্টির এ নেতা বলেছেন, সব মানুষের জন্য কাজ করবে তাঁর সরকার। সরকারের অগ্রাধিকার হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার এবং লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমানো। দুই বছরের মধ্যে চারটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাওয়া বিভক্ত দেশকে একত্রিত করার অঙ্গিকার করেছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, রোববার আস্থা ভোটে জয়ী হবার পর দেওয়া বক্তব্যে বেনেট বলেন, সব মানুষের জন্য কাজ করবে তাঁর সরকার। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর কথা বলেন ৪৯ বছর বয়সি বেনেট।
জোট গঠনের শর্ত হিসেবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন ডানপন্থী জাতিয়তাবাদী ইয়ামিনা পার্টির নেতা বেনেট।
এদিকে, জয়ী হবার পর ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিনন্দনবার্তায় তিনি জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশায় আছেন তিনি।
ইসরায়েলে সরকারে পরিবর্তন এলেও তাতে খুব কম পার্থক্য দেখছে ফিলিস্তিনিরা। বেনেট ইসরায়েলের স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডো। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের মূল সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনিবিরোধী উগ্র ও বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য আলোচিত-সমালোচিত বেনেট।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনপন্থী রাজনৈতিক দলও রয়েছে। নতুন সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি দলের প্রতিনিধিরা।
গতকাল রোববার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন জোট সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের পর ভোট হয়। এতে নতুন জোট সরকারের পক্ষে পড়ে ৬০ ভোট। আর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে পড়ে ৫৯ ভোট।
নেসেটের আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ায় জোট সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নাফতালি বেনেট। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর টানা ১২ বছরের ক্ষমতার অবসান হয়।
এসএন