আর্কাইভ থেকে বিএনপি

বিএনপির ১০ দফা দাবি উত্থাপন, ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

বিএনপির ১০ দফা দাবি উত্থাপন, ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
তত্ত্বাবধায়কর সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এসময় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে ১৩ ডিসেম্বর বিক্ষোভ-মিছিল করবে বিএনপি। এছাড়া ১০ দফা আদায়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে গণমিছিল করবে দলটি। বিএনপির ১০ দফা দাবিগুলো হলো- . বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। . ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। . নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা। . খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করা। . ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা। . বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল। . নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা। . বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। . গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা। এবং .আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া। সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গোলাপবাগ মাঠে আসতে শুরু করে। দুপুর নাগাদ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মাঠে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কগুলোতে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর পরই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় মাঠ। এদিকে সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের। একই সঙ্গে অঞ্চলটিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিএনপির | ১০ | দফা | দাবি | উত্থাপন | ২ | দিনের | কর্মসূচি | ঘোষণা