এক ঘণ্টা হাঁটলে ১৫০ ক্যালোরি বার্ন হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাই প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দেন। সকাল বা সন্ধ্যা, সুবিধাজনক সময়ে হাঁটা যায়। তাছাড়া এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। দরকার বলতে শুধু পোশাক এবং একটি ভাল মানের জুতো।
জুতো কিনতে লক্ষ্য রাখতে হবে যা
জুতো কেনার সময় সকলেরই মন থাকে ডিজাইনে। কেতাদুরস্ত কি না সেটাই মূলত দেখা হয়। কিন্তু এটা মারাত্মক ভুল। একজন মানুষের যেমন ওজন এবং ফিটনিসের দিকে নজর দেয়া উচিত, তেমনই জুতো কেনার সময় সেটাই দেখতে হয়। কারণ হাঁটাহাঁটির জন্য পায়ে ফিট করতে হবে। আবার জুতো ভারি হয়ে গেলে বেশিক্ষণ হাঁটা যাবে না। জামাকাপড় কেনার সময় যেমন ফিটিংস হচ্ছে কি না দেখে নিতে হয়, জুতোর ক্ষেত্রেও তেমনটাই আর কী!
এক জোড়া জুতোর ওজন কত হওয়া উচিত
দৌড়নোর জুতোর ওজন সাধারণত ১৮৪ গ্রাম থেকে ৩৬৮ গ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত। আর হালকা চাইলে ২২৭ গ্রামের কম ওজনের জুতো নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। আর ভারি জুতোর ওজন সাধারণত ৩০০ গ্রামের বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিডসোলের ওজনের কারণেই জুতোর ওজন বাড়া-কমা করে। সাধারণ জুতোর ওজনের ৭৫ শতাংশই মিডসোলের।
সঠিক জুতো আঘাত থেকে বাঁচায়
ওজন ঠিক থাকলে পায়ের উপর ভার কম পড়ে। তাই হাঁটাহাঁটির জন্য সঠিক জুতোকে বড় হাতিয়ার বলা হয়। জুতো যদি ঢিলেঢালা হয়, ফিটিং ভাল না থাকে তাহলে হাঁটার সময় বার বার গোড়ালি বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে হাঁটু, নিতম্ব এবং পিঠের নিচে চাপ পড়ে। গতিও কমে যায়। জয়েন্টে ব্যথা হওয়ায় বিচিত্র নয়।
পায়ের আঙুলের জন্য কিছু জায়গা থাকা উচিত
জুতোর ভিতর পায়ের আঙুলগুলো নড়াচড়া করতে পারছে কি না, কেনার সময় দেখে নেয়া উচিত। পায়ের আঙুল এবং জুতোর অগ্রভাগের মধ্যে কিছুটা জায়গা থাকা উচিত। তবেই হাঁটা কিংবা দৌড়নোর সময় পায়ের আঙুলগুলো জুতোর সোলকে সঠিকভাবে আকড়ে ধরতে পারবে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, পায়ের আঙুলগুলো জুতোর ভিতর যেন চেপে না যায়। ভাল জুতো শিন স্প্লিন্ট, টেন্ডোনাইটিস, গোড়ালির ব্যথা, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার এবং অন্যান্য চোট আঘাত থেকে রক্ষা করে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনওজন | কমাতে | শুধু | খাবার | লাগবে | ভাল | জুতোও