বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মহাসড়ক থেকে এক ব্যবসায়ীকে পিস্তল দেখিয়ে তুলে নিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তাঁকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর নাম আহসান হাবিব (৩৫)। বাড়ি শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামে। ওই ইউনিয়নের চান্দাইকোনার বগুড়ার বাজারে তাঁর একটি করাতকল আছে। তিনি কাঠের ব্যবসা করেন।
এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী গেলো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তুলে নিয়ে লুটপাটের ঘটনায় আহসান হাবিব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।
ভুক্তভোগী বলেন, গেলো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহাসড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে তিনি শেরপুর শহরে যাচ্ছিলেন। ঘোগা সেতু পার হওয়ার পর পেছন দিক থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার তাঁর গতি রোধ করে। এ সময় প্রাইভেট কার থেকে তিনজন নেমে দুজন তাঁর দিকে পিস্তল তাক করেন এবং একজন তাঁর মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁদের কাছে হ্যান্ডকাপ ছিল। তাঁরা চোখ–মুখ বেঁধে তাঁকে প্রাইভেট কারে তোলেন। গাড়িতে তুলে তাঁকে মারধর করে ১টি মুঠোফোন, ৪ হাজার টাকা, ১টি স্বর্ণের আংটি এবং ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড কেড়ে নেন। পরে উপর্যুপরি মারপিট করে বিকাশ ও ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর জেনে নেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে দুজনকে রাসেল ও সজীব নামে ডাকতে শুনেছেন।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ডাকাত দল তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ হাজার ৯০০ ও ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থেকে কয়েক দফায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়। তখন তিনি ডাকাত দলের একজনকে তাঁর মোটরসাইকেলটি চালিয়ে আসতে দেখেন। তাঁরা মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন ফেরত দিয়ে চলে যান। এরপর ওই রাতে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়িতে চলে আসেন। এ ঘটনায় গতকাল থানায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করেন।