আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

গরুচুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে যুবক নিহত

গরুচুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর গরু চুরি করার দায়ে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। দুপরের নিহত স্ত্রী মালতী বেগম বাদী হয়ে সাদুল্যাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন। নিহত ওই ব্যাক্তির নাম- হাফিজার রহমান। নিহত হাফিজার রহমান গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকমামরোজপুর গ্রামের সলিম উদ্দিনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাঙ্গামোড় (যুগিপাড়া) গ্রামে গরু চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী গণধোলাইয়ে  তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের নুরু মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে ৫/৬ জনের একদল চোর ৩টি গরু বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী বুঝতে পেরে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে গরু তিনটি ছেড়ে দিয়ে পিকাপ-ভ্যান নিয়ে চোর দল পালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির চোর দলের ওই পিকাপ ভ্যানটি স্থানীয় কয়েকজনকে চাপা দেয়। এসময় হাফিজার নামে এক চোর জনগনের হাতে আটক হয়। পরে গ্রামবাসী চোরকে কৃষক নুরু মিয়ার একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, চোরের দলের কয়েকজন পি-কাপ ভ্যানটি নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনজনকে পথচারিদের চাপা দেয়। আহত ওই তিন ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সদর উপজেলার চকমামরোজপুর নিহত হাফিজারের গ্রামবাসী জানান, তিনি বিভিন্ন স্থানে চুরি ছিনতাই করে বেড়ান। চুরি ছিনতাই করাই হাফিজারের পেশা। তার বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ। এলাকায় ছুরি-ছিনতাই করতে করতে এখন জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব অপকর্ম করে বলে জানান তারা। সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, নিহত হাফিজারের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অসংখ্যা চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত হাফিজার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তার বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গরুচুরির | ঘটনায় | গণপিটুনিতে | যুবক | নিহত