মানুষের ভালোবাসা-সমর্থনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগ কখনও সরকারে থাকেনি। মন্তব্য করেছেন আ.লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
দলের ২২ তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর৷ ওইদিনই নির্ধারিত হবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলটির আগামী তিন বছরের নেতৃত্ব৷
সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের নিয়ে বিদায়ী বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ প্রধান। বৈঠকের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সেবা করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, আমরা সেটাই করছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের উন্নয়ন হয়, এটা প্রমাণিত।
২০০১ সালে চক্রান্তের কারণে বেশি ভোট পেলেও ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ। ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেললে দেশবাসী তা মেনে নেয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বিদেশে বসে মানিলন্ডারিং করা টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশের নামে দুর্নাম রটাচ্ছে। দেশে কিছু বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী রয়েছেন, যারা গণতন্ত্রের ধারার বাইরে দেশ চললেই খুশি। তারা বিভিন্ন জায়গায় ‘ইউজ মি’ লিখে নিজেদের ব্যবহার করতে চায়। নির্বাচন এলেই তাদের চক্রান্ত শুরু হয়ে যায়। জনগণের সমর্থনেই নৌকা আবারও ক্ষমতায় থাকবে- এমন আশাবাদ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
বৈঠকের শুরুতেই ছাত্রলীগ ও যুব মহিলা লীগের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের ডেকে নিয়ে নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।