চলতি মাসের শুরুতে ভোর সাড়ে ছটায় ক্লম্বার পার্কে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারে বসবাসরত ব্রিটিশ দম্পতি। পার্কের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় স্ত্রী হ্যানা অনুভব করেছিলেন সেখানে ‘তারা একা নন’। আরও কেউ রয়েছে তাদের সঙ্গে। এরপরই তিনি তার ফোনের ক্যামেরা অন করেছিলেন। তাতেই ধরা পড়েছে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য।
কী ধরা পড়েছিল হ্যানার ফোন-ক্যামেরায়?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যানার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি সাদা অবয়ব তার ঠিক সামনে হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তা পার করছে। টর্চের আলো ওই অবয়বকে অনুসরণ করলেও মুহূর্তেই তা মিলিয়ে যায়।
হ্যানার দাবি, ওই অবয়ব আসলে ভূত। তিনি বলেছেন, ‘অবয়বটি যেভাবে তার লম্বা হাত-পায়ের সাহায্যে হামাগুড়ি দিচ্ছিল, তাতে আমি নিশ্চিত ওটা ভূত ছিল। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম বোধহয় ওটা কোনও ধোঁয়া। কিন্তু তার আকারের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। ধোঁয়া হলে অবশ্যই তার আকার পরিবর্তন হত। একটা অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করেই আমি ক্যামেরা বের করেছিলাম। কারণ সবসময় খালি চোখে সবকিছু ধরা পড়ে না। আমার কাছে এই দৃশ্যের কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই।’
অন্যদিকে তার স্বামী ডেভ জানিয়েছেন, তিনি ভূত-প্রেতে বিশ্বাস না করলেও, ওই দৃশ্য দেখে তার চুল খাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হ্যানার তোলা এ ভিডিও তার চিন্তা-ভাবনা বদলে দিয়েছে।
ডেভ বলেছেন, ‘ভূত-প্রেত নিয়ে বরাবর আমার অবিশ্বাস ছিল। কিন্তু এই ভিডিওটি দেখে আক্ষরিক অর্থে আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল।’
হ্যানা জানিয়েছেন, তার ক্যামেরায় যে অবয়বটি ধরা পড়েছে, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, সেটি একটি কুকুরের অবয়ব। পরে অবশ্য বারবার ভিডিওটি দেখতে দেখতে তার মনে হয়েছে, অবয়বটির আকার মানুষের মতো।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ট্রাস্টের আওতায় থাকা পার্কগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পার্ক হল এই ক্লম্বার পার্ক। এই পার্কটি ভুতুড়ে বলেই পরিচিত। অনেকেই দাবি করেন, এই পার্কে এক মহিলার আত্মা ঘুরে বেরায়। ‘গ্রে লেডি’ নামে পরিচিত ওই মহিলাকে অনেকেই দেখেছেন। তাদের দাবি, মহিলা একটি লম্বা ধূসর রঙের পোশাক পরে থাকেন।
সত্যিই কি সেদিন হ্যানার ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল ভূতের হামাগুড়ি!
সূত্র: ডেইলি মেইল