আগামী ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের সফরে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ইংল্যান্ড দল। সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে জস বাটলারের দল।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ইসিবির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লেয়ার কনর বলেছেন, ‘এটা উত্তেজনাপূর্ণ যে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের সাদা বলের পুরুষ দল। এই অধীর-প্রত্যাশিত সফরের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা চমৎকার হবে। বাংলাদেশজুড়ে ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আবেগ রয়েছে, এবং আমরা ঘরের কন্ডিশনে চমৎকার রেকর্ডের অধিকারী দলের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ আশা করছি।’
বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের বছরে দুই দলের জন্যই নিজেদের শক্তিমত্তা দেখার দারুণ সুযোগ এ সিরিজ। বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে থাকা সমর্থকদের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো হবে জিবে জল আনার মতোই। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড অসাধারণ, আর আমরা সবাই জানি ইংল্যান্ড দলটি কতটা দুর্দান্ত।’
সূচি অনুযায়ী, ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে মাঠের লড়াই। তার আগে সফরে ইংল্যান্ডের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে। ম্যাচ দুটি হবে ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। আগামী ১ ও ৩ মার্চ ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে। এরপর ৬ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ।
এরপর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াবে যথাক্রমে ৯, ১২ এবং ১৪ই মার্চ। যেখানে চট্টগ্রামে হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর আবারও ঢাকায় ফিরে মিরপুরে পরবর্তী দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল সফরকারী ইংলিশরা। সেবার টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে, তবে এবার লাল বলের কোনো ম্যাচ নেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।