প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে দুজন পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বহিষ্কৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিদের কেউ কেউ দূর থেকেও নানাভাবে জড়িত ছিল। এ ছাড়া আসামিরা হত্যায় জড়িত ছিল তা প্রমাণ করতে পেরেছেন। গত ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ৫ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।