মহামারী করোনায় খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ১১ জনের মধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে সাতজন, গাজী মেডিকেল হাসপাতালে তিনজন এবং জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের মোশারফ হোসেন (৬৪), সোনাডাঙ্গা এলাকার কাজী মাছরুফা রহমান (৬৩), তেরখাদার তাসলিমা বেগম (৮০), রূপসার আঞ্জুমান আক্তার (৫৫), সাতক্ষীরার তালার সৈয়দ শাহরিয়ার (৭১), নড়াইল সদরের খাদিজা পারভীন (৩৮) এবং মোংলার লাকি বেগম (৫০)।
এ ছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৮ জন, ইয়ালোজোনে ১৩ জন, এইচডিইউতে ১৮ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি হলেন- যশোরের নওয়াপাড়ার শেখ মোশারফ হোসেন (৭৬)। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। এর মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী রয়েছেন।
গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর সাতরাস্তা মোড় এলাকার ফিরোজা বেগম (৫২), সোনাডাঙ্গা গোবরচাকা এলাকার শেখ নুরউদ্দিন (৩১) এবং যশোরের মনিরামপুরের বিজয় কুন্ডু (৬৭)।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ৭৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ছয়জন এবং এইচডিইউতে পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২০ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। এ ছাড়া হাসপাতালের আরটিপিসিআর মেশিনে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, সোমবার (২১ জুন) রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১১ জন, সাতক্ষীরায় তিনজন, যশোরের পাঁচজন, নড়াইলে তিনজন, কুমিল্লার একজন, বরগুনার একজন, নাটোরের একজন ও টাঙ্গাইলের একজন রয়েছেন।