২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কথিত সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের নামে দেশে দেশে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যত মার্কিন সেনা যুদ্ধে মারা গেছে তার চেয়ে চারগুণ মারা গেছে আত্মহত্যার মাধ্যমে। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে।
মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানায়, সম্প্রতি কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট নামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থা। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০,১৭৭ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মার্কিন নিয়মিত এবং যুদ্ধ-ফেরত সেনা আত্মহত্যা করেছে। যেখানে যুদ্ধের কারণে মারা গেছে ৭,০৫৭ জন। মার্কিন সেনা মৃত্যুর এই হারের চেয়ে আত্মহত্যায় নিহতের সংখ্যা ৪.২৮ ভাগ বেশি।
প্রতিবেদনের এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ শুরু করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কর্তব্যরত অবস্থায় পাঁচ হাজার ১১৬ জন সেনা আত্মহত্যায় মারা গেছে।
এই প্রতিবেদনের সত্যতা স্বীকার করেছে মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, আমাদের সামরিক বিভাগের লোকজনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। আত্মহত্যার মধ্যদিয়ে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। সময়ের পরিক্রমায় যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রণতা বেড়ে গেছে। সমাজে যা ঘটছে তা থেকে মুক্ত নয় আমাদের সেনা সদস্যরা।
এসএন
