পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দা সরদার হাজী জান মুহাম্মাদ ৬০তম সন্তানের পিতা হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচটি সন্তান মারা গেছে, বাকি সবাই সুস্থভাবে বেঁচে আছে। তবে তিনি এখনই থেমে যাবেন না, ‘আল্লাহ চাইলে’ তিনি আরও সন্তানের পিতৃত্ব চান। সরদার জান মুহাম্মাদ খান তার ৬০তম সন্তানের নাম রেখেছেন খুশাল খান।
তিনি বলেছেন,'খুশালের জন্মের আগে তার মাকে আমি উমরাহ করতে নিয়ে গিয়েছিলাম, এজন্য তাকে (সদ্যোজাত সন্তানকে) আমি হাজী খুশাল খান ডাকবো। এবং আমার সব বন্ধুকে বলে রেখেছি আমাকে চতুর্থ বিয়ের জন্য একজন পাত্রী খুঁজে দিতে। বয়স হয়ে যাচ্ছে, তাই তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজটা সারতে চাই।'
সরদার জান মুহাম্মাদ খান বলেছেন, তিনি একাই কেবল আরও সন্তান চান বিষয়টি এমন নয়, তার স্ত্রীরাও একইভাবে আরও সন্তান চান।
তাদের সন্তানদের মধ্যে পুত্রের চেয়ে কন্যার সংখ্যা বেশি। সন্তানদের নিয়ে আগে তেমন কোন সমস্যা না হলেও, গত তিন বছরে পাকিস্তানে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে সংসারের খরচ নিয়ে তিনি বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ, আটা-ঘি-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম তিনগুণ বেড়েছে। পাকিস্তানের সব মানুষ, দুনিয়ার মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে ভুগছে। আমার ওপরও তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
সন্তানদের সব সময় খুশী রাখা চেষ্টা করেন সরদার জান মুহাম্মাদ খান। এজন্য তিনি কারো কাছে হাত পাতেননি বরং কঠোর পরিশ্রম করছেন। সব বাচ্চাদের পড়ালেখা করানো হচ্ছে। সন্তান পালনে নিজে কারো কাছে সাহায্য না চাইলেও সরদার জান মুহাম্মাদ খান বলেছেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার সন্তানদেরও সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে।
অধিক সন্তান থাকার জন্য তাকে কোনও ভাতা দিলে তার সুবিধা হতো বলে দাবি করেন তিনি।
মুহাম্মাদ খান বলেন, তিনি নিজে বেড়াতে পছন্দ করেন এবং সন্তানদের নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতে চান।
পঞ্চাশ বছর বয়সি সরদার জান মুহাম্মাদ খান কোয়েটা শহরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার বাসিন্দা এবং খালজি গোত্রের একজন সদস্য। তিনি একজন চিকিৎসক এবং ওই এলাকায় তার একটি ক্লিনিক আছে।
২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা থাকবে যে আটটি দেশের পাকিস্তান তার অন্যতম। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ২০২০ সালে এই হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
