গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই বেড়েছে। এসময়ে এক হাজার ৩১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমিত হয়েছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন লাখ ৩৩৮ জন।
এ নিয়ে মহামারি শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৫ হাজার ৯৩১ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৭০ লাখ ৪৫ হাজার ২১৬ জনে। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯৮ জন।
আজ শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জাপানে। আর দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় জাপানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির এ তালিকায় এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, তাইওয়ান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো।
দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে থাকা জাপানে গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৯০৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৮ হাজার ৪৯৬ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৪৯ জন এবং মারা গেছেন ২২০ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮৫ জন সংক্রমিত এবং ১১ লাখ ২০ হাজার ৮০৪ জন মারা গেছেন।
সংক্রমণের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৮৩ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৫ জনের।
তাইওয়ানে গেলো ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ জনের।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত ৬৪ হাজার ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ৬৬ জন, অস্ট্রেলিয়ায় শনাক্ত ১ হাজার ৬২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন, চিলিতে শনাক্ত ৪ হাজার ৪৯৫ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন, হংকংয়ে শনাক্ত ১৮ হাজার ৪২২ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন এবং হাঙ্গেরিতে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯২১ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন।