আর্কাইভ থেকে জাতীয়

কম দামে বিদ্যুৎ চায় মেট্রোরেল

কম দামে বিদ্যুৎ চায় মেট্রোরেল
কোনো ধরনের লাভ ছাড়া কম দামে মেট্রোরেলের জন্য বিদ্যুৎ চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কাছে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানায় ডিএমটিসিএল। শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরামূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। খুচরা বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৭ দশমিক ১৩ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ১৩ পয়সা করার সুপারিশ করেছে। এতে গড়ে বৃদ্ধি পেতে পারে ১৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য বিদ্যুতের দামে কিছুটা ছাড় চেয়েছি। আমরা যত ছাড় পাবো, ততই মেট্রোরেল চলাচলের জন্য মঙ্গল। কারণ মেট্রোরেলে পরিচালনায় অন্যতম খরচ বিদ্যুৎ খাতে। রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে আজ সকাল থেকে শুনানি শুরু হয়। চলবে বিকাল পর্যন্ত। আজ কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামীকালও। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়। আজ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব ছড়াও ট্যারিফের ওপর শুনানি হবে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে আগেই জানিয়েছে, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে ১১২৭ কোটি টাকা, একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ১৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বলছে তাদের ৫৩৫ কোটি টাকা লোকশান হবে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনও আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কম | দামে | বিদ্যুৎ | চায় | মেট্রোরেল