যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে ১২ তলা ভবন ধসের ঘটনায় মারা গেছে একজন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ৯৯ জন। বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন স্থানীয় মেয়র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে ধসে পড়ে সমুদ্র সৈকত লাগোয়া চ্যাম্পলিন টাওয়ারের একাংশ। ওই সময় ঠিক কতজন মানুষ ভবনটিতে ছিল তা জানা যায়নি। ভবন ধসের কারণ জানা যায়নি।
মায়ামির উত্তরাঞ্চলীয় মায়ামি-ডেইড শহরের মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন-ক্যাভা জানান, ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে ১০২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৯৯ জন।
ভগ্নস্তুপে আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃত্যু এড়াতে বুলডোজারের মতো ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বিরত রাখা হয়েছে। তবে নিখোঁজদের শব্দ শনাক্তকরণে মেশিন, ক্যামেরা ও পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের মাধ্যমে অনুসন্ধান চলছে।
ভবন ধসের পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় জরুরি বিভাগ। ওই ভবনটিতে ঠিক কতজন বসবাস করতো তা এখনও জানা যায়নি। ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০২ জনকে বের করে আনা হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ১২ তলা ভবনের মাঝের অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি টাওয়ার সদৃশের একটি ধসে পড়ে মাটিতে মিশে যায়।
১৯৮১ সালে নির্মিত ১২-তলা আবাসিক ভবনের ১৩০টি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের প্রায় অর্ধেকই ধসে পড়েছে। ভবনটি ধসের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
ভবনটিতে ল্যাটিন অ্যামেরিকার অনেক মানুষ ছিল। নিখোঁজদের মধ্যে অনেকেই ল্যাটিন অ্যামেরিকার অভিবাসী বলে জানিয়েছে তাদের কনস্যুলেট। প্যারাগুয়ে সরকার জানিয়েছে, দেশটির ফার্স্টলেডির বোন ও ভগ্নিপতি, তাদের তিন সন্তান ও একজন গৃহকর্মী নিখোঁজ রয়েছে।
এসএন