ঢাকা শহরে পানির দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । ১৩ বছরে পানির দাম বেড়েছে ১৪ বার, যা অঙ্কের হিসাবে প্রায় আড়াই গুণ। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ঢাকা ওয়াসার আবাসিক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট অর্থাৎ ১ হাজার লিটার পানির দাম ছিল ৬ টাকা ৪ পয়সা। আসছে ১ জুলাই থেকে তা হবে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। করোনাকালে পানির এমন দাম বৃদ্ধি মরার ওপর খড়ার ঘা –মনে করেন গ্রাহকরা। এদিকে পানির দাম বাড়া নিয়ে মুখে কুপুল এটে বসে আছেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। যিনি সুদূর আমেরিকায় বসেই করোনাকালেও বাড়িয়েছেন পনির দাম । করোনায় ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অন্যায্য বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা ওয়াসার পানি! দাম যেমন ভালো মান তেমনই যততত। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ খা্ওয়ার অনুপযোগী এমন হাজার হাজার অভিযোগ নিত্যদিনের। একবারতো যাত্রাবাড়ির এক ভদ্রলোক ওয়াসার পানির মান নিয়ে চ্যালেঞ্জ কোরে কারওয়ান বাজারে ওয়াসাভবনেই চলে আসেন। যদিও ওয়াসার এমডি সেই চ্যালেঞ্জ নেন নি।
এবার আসি দামের ক্ষেত্রে বাসা-বাড়িতে ওয়াসার যে পানি ব্যবহার করে নগরবাসী, তার জন্য গেল বছর থেকে তার প্রতি ১ হাজার লিটারের জন্য দিতে হয় ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা । আর আসছে জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকেই এই বোঝাটা বাড়িয়ে গুণতে হবে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। এর আগেও দুই হাজার ১৯ এর সেপ্টেম্বর, এবং ১৮ জুলাই এবং ১৭ সালের আগস্টে দাম সমন্বয়ের নামে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
গেল ২৪ মে ওয়াসার বোর্ড সভায় ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য ১৩ সদস্যের নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। সভায় সবাই উপস্থিত না থাকলেও, এখানেও দাম বাড়ানোর বিপক্ষে মত দিয়েছেন, চারজন সদস্য।তারা বলেছেন পানির দাম বাড়িয়ে করোনাকালে শুধু শুধু মানুষের জীবনের ওপর বাড়তি চাপ না বাড়ানো হোক।
কিন্তু সামঞ্জস্যের দোহাই দিয়ে দাম বাড়িয়েছেন, সুদূর আমেরিকায় ছুটিতে থাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। বাড়তি দাম কেন এ নিয়ে তার সংগে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও সারা মিলে নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত ১৩ বছরে এ নিয়ে ১৪ বার পানির দাম বাড়ানো হলো। করোনায় দাম বাড়ানোর এমন সিদ্ধান্তকে অন্যায্য হিসেবে দেখছেন নগরবিদরা। নগরবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, বিষয়টি একেবারেই অন্যায্য। এতে জনসাধারণের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে। একই সংগে করোনা মাহামারির এ সময়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর পরামর্শ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন..
মুক্তা মাহমুদ